
বাকি আর ১৭ দিন। আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচনের ভোট। তার আগে গত শুক্রবার দায়িত্ব ছাড়েন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটি। এদিন এফডিসিতে তারা তাদের নানা কাজকর্ম ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেন।
এছাড়া বর্তমান সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় তারা নাম প্রকাশ করেন জনপ্রিয় দুই চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও সিমলার। এবারের নির্বাচনে তারা দুজনেই মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করবেন। এ কথা মৌসুমী এবং সিমলাও গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন।
পাশাপাশি ওই দিনের সভায় জায়েদ খান জানান, তাদের প্যানেলে আরও চমক রয়েছে। যেটা এখনই প্রকাশ করতে চান না। এর পরই এফডিসিপাড়ায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে লড়বেন একসময়ের জনপ্রিয় জুটি নাঈম ও শাবনাজ।
গত চার দিন ধরে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা। অবশেষে মুখ খুললেন তারকা দম্পতি নাঈম-শাবনাজ। নিজেদের নিয়ে ছড়ানো গুঞ্জনকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। বললেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সম্ভাবণাই তাদের নেই।
এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। নাঈম-শাবনাজের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই দুই প্যানেলই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তারা কারও পক্ষেই নির্বাচন করবেন না।
নাঈমের কথায়, ‘দুই প্যানেলই আমাদের খুব প্রিয়। ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন শুনে ভালো লেগেছে। আশা করি, যোগ্যদেরই নির্বাচিত করবেন শিল্পীরা। তাছাড়া আমি আর শাবনাজ এখন ঢাকায় থাকি না। মেয়েদের নিয়ে টাঙ্গাইলে থাকি। নির্বাচন করার শারিরীক অবস্থাও নেই।’
নব্বইয়ের দশকে বেশ জনপ্রিয় জুটি ছিলেন নাঈম ও শাবনাজ। বেশ কয়েকটি দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ে করে দুজনেই অভিনয় ছেড়ে দেন। নাঈম-শাবনাজের মূল পেশা এখন ব্যবসা।