
গত ৫ জানুয়ারি রাতে কন্যাসন্তানের অভিভাবক হয়েছেন তারকা দম্পতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। তারা মেয়ের নাম রেখেছেন ইলহাম নুসরাত ফারুকী। যদিও এখনও মেয়ের মুখের ছবি প্রকাশ করেননি তিশা বা ফারুকী। জন্মের পর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছিল, তবে সেখানে ইলহামের মুখ দেখা যাচ্ছিল না।
তা সত্ত্বেও বিভিন্ন পত্রিকায় মেয়ের ভুল ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিশা। এতে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। এর জন্য অভিনেত্রী নিয়েছেন সবচেয়ে সহজ এক পদক্ষেপ। সোমবার পৌনে ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক নিউজ পোর্টালের স্ক্রিন শট শেয়ার করে বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করেছেন। পাশাপাশি মেয়ের ভুল ছবি প্রচার না করতে সবাইকে অনুরোধও জানিয়েছেন।
তিশা লিখেছেন, ‘একটা ব্যাপারে বেশ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা আরও ছড়ানোর আগেই আমরা পরিষ্কার করতে চাই। কিছু কিছু সংবাদ এবং ভিডিওর সাথে ইলহামের ছবি হিসাবে একটা পুরনো ছবিকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি, শুরুর দিকে ভুলে এটা যোগ করা হয়েছিল কিছু রিপোর্টের সাথে, যেটা পরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে একটা কিছু উঠে গেলে তো সেটা ছড়াতেই থাকে। সেই জন্যই এই পোস্ট দেওয়া, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ায়।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আমরা যখন ইলহামের ছবি সবার সাথে শেয়ার করতে চাইবো, তখন আমরা নিজেরাই সেটা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবো। তাই প্লিজ অন্য ছবিকে যেনো ইলহামের বলে আমরা না ছড়াই। সবাই ভালো থাকবেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসার জন্য ইলহাম এবং আমাদের পরিবার কৃতজ্ঞ।’
২০০৯ সালে ফারুকী পরিচালিত ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেছিলেন তিশা। এর পরের বছরই তারা বিয়ে করেন। তার আগে পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তিশা-ফারুকী। ২০০৫ সালে একটি শুটিংয়ে তিশাকে প্রপোজ করেছিলেন ফারুকী। তিশা তাতে সবুজ সংকেত দেন।
এর পরই শুরু হয় তাদের প্রেমপর্ব। পাঁচ বছর এভাবে চলার পর ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন তিশা ও ফারুকী। গত বছর দশম বিবাহবার্ষিকীতে এসব অজানা কথা তারা নিজেরাই ফাঁস করেন একটি টিভি সাক্ষাৎকারে। চলতি বছরের ১৬ জুলাই তিশা-ফারুকীর দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর পূর্ণ হয়ে এক যুগে পড়েছে। এত বছর পর হলেন সন্তানের অভিভাবক।