
আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে দুটি প্যানেল। একটি প্যানেল বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানদের। সেখানে কার্যকরী সদস্য পদে লড়বেন নায়ক বাপ্পারাজ। আরও আছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। অন্যদিকে, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ খ্যাত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে আরেকটি প্যানেল গঠন করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করলেও একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ চান, এবার মিশা সওদাগর নয় বরং সভাপতি পদে জয়ী হোক ইলিয়াস কাঞ্চন। দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন ইচ্ছার কথাই জানিয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক-পুত্র। কিন্তু নিজের প্যানেলের প্রার্থী মিশার জয় কামনা না করে বিপক্ষ প্যানেলের ইলিয়াস কাঞ্চনের জয় কেন চাইছেন বাপ্পারাজ?
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘বর্তমান কমিটিতে যারা আছেন, তাদের নিজেদের কোনো ইজ্জত নেই, অন্য কাউকেও তারা ইজ্জত-সম্মান দিতে জানে না। এ ধরনের লোকের সামনে গিয়ে নিজের ইজ্জত খোয়ানোর কোনো মানে হয় না! এই ইজ্জত কামাতে আমার ৩৫ বছর লেগেছে। এ জন্যই ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবকে দরকার। যার ইজ্জত আছে, যিনি অন্যকে ইজ্জত দিতে পারেন, তাকেই তো দরকার। শিল্পীদের ইজ্জত–সম্মান ফেরাতে ইলিয়াস কাঞ্চনকেই সভাপতি করা দরকার।’
শিল্পী সমিতির গত দুই মেয়াদের সভাপতি খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের আর এই পদে থাকার কোনো অধিকারই নেই বলেও উল্লেখ করেন বাপ্পারাজ। তিনি বলেন, ‘খামোখা জায়েদ খান জোর করে মিশাকে বানিয়েছেন। চান্সেও মিশা হয়ে গেছে। মিশার তো সভাপতি হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। সভাপতি হতে তো মিনিমাম কিছু যোগ্যতা লাগে, স্ট্যান্ডার্ড লাগে। জায়েদ খানও এখন ব্যাপারটা বুঝছে।’
তবে নিজ প্যানেল থেকে মিশা সওদাগরকে সভাপতি না চাইলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানকেই পছন্দ বাপ্পারাজের। বলেন, ‘জায়েদ খান কিছু করুক না করুক, প্রতি সপ্তাহে অন্তত দোয়া মাহফিল করেছে। মারা যাওয়া সিনিয়র শিল্পীদের নানাভাবে স্মরণ করছে। ব্যক্তিগতভাবে সে কী করছে না করছে, তা আমার জানার দরকার নেই। তাই আমি চাই, ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি এবং জায়েদ সাধারণ সম্পাদক হোক।’
১৯৮৬ সালে বাবা রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘চাঁপাডাঙার বউ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন বাপ্পারাজ। সেখানে তাকে দেখা যায় একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাবানার দেবরের চরিত্রে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বহু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন। কয়েক বছর ধরে তিনি অভিনয়ে অনিয়মিত। তবে শিল্পী সমিতির নেতা হিসেবে চলচ্চিত্রের নানা কাজে তার অংশগ্রহণ রয়েছে।