logo
মেনু
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাবাংলা
    • ঢাকা
    • চট্রগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • রংপুর
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • ময়মনসিংহ
  • রাজধানী
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • অর্থ-বাণিজ্য
  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  • লাইফস্টাইল
  • আইন-আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • অন্যান্য...
    • অন্যরকম
    • চাকুরী সংবাদ
    • মুজিব বর্ষ
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • সাক্ষাৎকার
    • প্রবাসের খবর
    • নারীমেলা
    • ওপার বাংলা
    • জীব বৈচিত্র্য
    • ভ্রমণ
    • শিল্প-সাহিত্য
    • মতামত
    • বিশেষ সংবাদ
    • চাকুরী সংবাদ

আইন-আদালত
ই-অরেঞ্জের সিইও সোনিয়া স্বামীসহ কারাগারে

Aug 17, 2021
Share
Tweet
banglanewspaper

অফারে পণ্য বিক্রির নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক (সিইও) সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিক শুনানি নিয়ে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সকালে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের পাঁচ মালিক-পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। ৩৭ জন গ্রাহকের পক্ষে তিনি এই মামলা করেন।

মামলায় সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে আমানুল্লাহ, বিথী আকতার, কাওসার নামের তিনজনকে। সোনিয়া মেহজাবিন প্রতিষ্ঠানটির সিইও। তার স্বামী মাসুকুর রহমানও প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিক।

অর্ডার করা পণ্য পেতে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। বিক্ষুব্ধ ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক পণ্যের বিপরীতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অর্ডার নেওয়ার পর ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মকর্তারা লাপাত্তা। তাই লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও এখন তাদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়। নিরুপায় হয়ে সোমবার দিনভর ক্রেতারা বিক্ষোভ করেছেন ই-অরেঞ্জের গুলশানের কার্যালয়ের সামনে।

অবরোধ শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসায় যান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। মাশরাফি প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছা দূত ছিলেন। তবে মাশরাফি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ আরও মাসখানেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার হোল্ডার নন।

bdnewshour24

পরবর্তী খবর

আইন-আদালত
সাংসদ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন হাজী সেলিম

Apr 25, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে সাজা বহাল থাকার ফলে হাজী সেলিম এমপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী আজ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। হাইকোর্টে সাজা বহাল থাকার ফলে হাজী সেলিম এমপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

এর আগে গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই দিন রায় ঘোষণার পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, দুদক আইনে (২৬ এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের রায় দেন আদালত।

এরপর বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়। একইসঙ্গে যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেওয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিতে হবে।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

হাজী সেলিম

পরবর্তী খবর

আইন-আদালত
‘পুরুষ ধর্ষণ’ আইন সংশোধনে রুল জারি

Apr 10, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

‘পুরুষ ধর্ষণসহ অন্যান্য ধর্ষণকে’ নারী ধর্ষণের মতো অপরাধ হিসেবে যুক্ত করতে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় সংশোধন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

এ-সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার (১০ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।
 
চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।

গাজীপুরের ড. সৌমেন ভৌমিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়া নূহিয়া আহমেদ এবং সমাজকর্মী ড. মাসুম বিল্লাহ রিটটি দায়ের করেন।

রিটের পক্ষে আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছেলেশিশুসহ পুরুষকে যৌন নির্যাতন ও বলাৎকারের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কিন্তু এ ধরনের নির্যাতনকে ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে বিচার করা যাচ্ছে না। এ কারণে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় সংশোধন এনে ‘নারী ধর্ষণ’-এর অপরাধের পাশাপাশি, অপরাধ হিসেবে ‘পুরুষ ধর্ষণ’ বিষয়টিকে যুক্ত করার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আজ এ রুল জারি করেছেন।
 
রিটে বলা হয়, ৩৭৫ ধারায় শুধু পুরুষ দ্বারা নারীদের ধর্ষণের বিষয়ে আছে। এখানে সম্মতি ছাড়া নারীদের দ্বারা নারী, নারীর দ্বারা পুরুষ, পুরুষ দ্বারা পুরুষ এবং একজন ট্রান্সজেন্ডার আরেক ট্রান্সজেন্ডারের দ্বারা যৌন নিপীড়নের বিষয়টি নেই।

ধর্ষণ

পরবর্তী খবর

আইন-আদালত
ড. তাহের হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

Apr 05, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের শিক্ষক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে অন্য দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় বহাল রাখেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম এবং নাজমুল আলমের শ্যালক আবদুস সালাম।

গত ১৬ মার্চ উভয়পক্ষের (রাষ্ট্র ও আসামি) করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ (৫ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। এ ছাড়া, ছিলেন অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সাগুফতা।
 
অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।
 
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

যে দুজনের ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হচ্ছেন- মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের শ্যালক আবদুস সালাম। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।
 
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন পুলিশ। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন।
 
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 

হত্যা

পরবর্তী খবর

আইন-আদালত
সিনহাকে দেশে ফেরাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে দুদক

Mar 31, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

‘অবৈধভাবে’ অর্থ উপার্জন করে বিদেশে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার কাছে তা ‘পাচার করে’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির জ্যাপার স্ট্রিটের তিনতলা একটি বাড়ি কেনার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দু্র্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চার বছর আগে দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে দেশে ফেরাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন। এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে বৃহষ্পতিবার অর্থ পাচারের মামলাটি করার পর পর দুদক দুদক সচিব একথা বলেন।

দুদকের যে আইন রয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা সেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে দুদক সচিব বলেন, ‘দুদকের যে মানি লন্ডারিং আইনের ধারা রয়েছে সেই ধারা মোতাবেক অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচার এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় কমিশনের সিদ্ধান্ত ক্রমে দুদক আজকে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করেছে।’

এসকে সিনহাকে দেশে ফেরাতে দুদক চেষ্টা করবে কিনা জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন উদ্যেশ্যমূলকভাবে কিছু করতে পারে না। দুদক আইন মোতাবেক যে ক্ষমতা বা তফসিলে আইনের যে ধারা রয়েছে সেভাবেই কাজ করবে।’

দুদক সচিব বলেন, ‘তাকে (সিনহা) ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে যে আইনী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তিনি তাই করবেন। আইনের বিধান অনুসারেই তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আইনের যে ক্ষমতা তা প্রয়োগ করবেন।’

দুদক সচিব জানান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে (সংশোধিত ২০১৫) অপরাধ প্রমাণ হলে সবোর্চ্চ ১২ বছরের সাজা হতে পারে। অর্থ পাচারের বিষয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে এসকে সিনহার সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় দুদক। এরইমধ্যে সেসব চিঠির প্রেক্ষিতে সিনহার বাড়ি কেনার রেকর্ডপত্র দুদক কর্মকর্তার হাতে এসে পৌঁছেছে।

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদেশে বাড়ি কেনার জন্য সাবেক এই প্রধান বিচারপতির ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার মাধ্যমে বাড়ি কেনার অর্থ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। এই সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রাদির সত্যতা মিলেছে।

২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় যা ২ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার) সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কিনেন তার ভাই অনন্ত কুমার।

এই বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে আমেরিকার সরকারের কাছ থেকে অনন্ত নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কিনেছেন নগদ টাকায়।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে এসকে সিনহার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহা নিউজার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়।

দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত সূত্রে জানা যায়, সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থ পাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে এসকে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা গ্র্রহণ করেছেন তা বিদেশে পাচার করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবে সংস্থাটি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এসকে সিনহা তার নিজ নামে রাজউকের উত্তরা প্রকল্পে একটি প্লট বরাদ্দ পান।

পরবর্তীতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার আরও প্লটের জন্য আবেদন করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাইয়ের নামে আবেদন করা ওই তিনকাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পরে তিন কাঠার প্লটটিকে আবারও প্রভাব খাটিয়ে পাঁচ কাঠার প্লটে রূপান্তর করেন।

এছাড়া সাবেক ফারমার্স ব্যাংক বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে চার বছর এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সিনহা

ঢাকা সংবাদ

banglanewspaper
টাঙ্গাইলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্বির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ 
banglanewspaper
পাত্রী দেখে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে প্রাণ গেল প্রবাসীর
banglanewspaper
বিয়ের পরেও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে জুলিয়া!
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে ট্রাকে করে ফেনসিডিল বিক্রির সময় গ্রেফতার ২
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে সাড়ে ৭ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে মারামারি
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে ফেনসিডিলসহ র‍্যাবের হাতে ২ ভুয়া সংবাদিক আটক

অন্যরকম সংবাদ

banglanewspaper
আজ কারাগারে অ্যাসাঞ্জের বিয়ে
banglanewspaper
পানির নিচ থেকে উঠে এল ‘ভুতুড়ে গ্রাম’!
banglanewspaper
অনলাইনে ক্লাস করতে গাছের উপরে বাড়ি তৈরি
banglanewspaper
আজব ঘটনা! হাঁসের হাতে মুরগি ‘খুন’, থানায় অভিযোগ
banglanewspaper
মারা গেলেন তসলিমা নাসরিন!
banglanewspaper
৮৭ বছরের জীবনে ৬৭ বছর গোসলই করেননি তিনি!
bdnewshour24.com
West Panthopath, Dhanmondi
Dhaka 1209, Bangladesh.
For News: bdnewshour24@gmail.com
For Adds: bdnewshour24@gmail.com
For Contact: 01745-052651
DMCA.com Protection Status bdnewshour24.com প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি
© 2016-2017. All Rights Reserved. Powered by banglanewspaper CIS