logo
মেনু
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাবাংলা
    • ঢাকা
    • চট্রগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • রংপুর
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • ময়মনসিংহ
  • রাজধানী
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • অর্থ-বাণিজ্য
  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  • লাইফস্টাইল
  • আইন-আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • অন্যান্য...
    • অন্যরকম
    • চাকুরী সংবাদ
    • মুজিব বর্ষ
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • সাক্ষাৎকার
    • প্রবাসের খবর
    • নারীমেলা
    • ওপার বাংলা
    • জীব বৈচিত্র্য
    • ভ্রমণ
    • শিল্প-সাহিত্য
    • মতামত
    • বিশেষ সংবাদ
    • চাকুরী সংবাদ

ধর্ম
রমজান আত্মিক উৎকর্ষের মাস

Apr 17, 2021
Share
Tweet
banglanewspaper

মহিমান্বিত ও আত্মিক উৎকর্ষের মাস পবিত্র রমজান। এ মাস নিঃসন্দেহে অন্যান্য মাস থেকে আলাদা ও শ্রেষ্ঠ। আরবি মাসসমূহের নবম মাস রমজান। বিশ্বের মুসলিমদের জন্য সিয়াম সাধনার পবিত্রতম মাস এটি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা তিন নম্বর। কোরআনে আল্লাহ নিজের সঙ্গে রোজার সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছেন। সকল ইবাদত-বন্দেগি থেকে রোজার আলাদা মর্যাদাও দিয়েছেন। রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সওম, বহুবচনে বলা হয় সিয়াম। সওম অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা অথবা জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেওয়া। রাব্বে কারিমের সন্তুটি অর্জনের লক্ষ্যে  সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাই  সওম।

দ্বিতীয় হিজরি শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরয হয়। নামাযের মতো এই রোজাকে পূর্ববর্তী সকল নবির শরীয়তে ফরয ছিল। ইরশাদ হচ্ছে- হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি, যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো, পরহেজগার হতে পারো। (সুরা বাকারা: আয়াত- ১৮৩)। সর্বশেষ গ্রন্থ আল কোরআন এ মাসে নাজিল করা হয়। তাই এ মাসের পবিত্রতা, মাহাত্ম্য ও মহিমা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। ইরশাদ হচ্ছে- ‘রমজান এমন এক মহিমাময় ও গৌরবামন্বিত মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে’। নিশ্চয়ই আমি এই কোরআনকে কদরের রাত্রিতে নাজিল করেছি। ‘রমজান মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে আর এ কোরআন মানবজাতির জন্য সঠিক পথের দিশা, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন, সত্য-ন্যায়ের পার্থক্যকারী’। (সুরা বাকারা:আয়াত- ১৮৫)। 

অতএব, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে সে যেন রোজা রাখে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে, সে পরবর্তী সময়ে গুনে গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে দেবে’। ‘আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হিদায়াত দান করার দরুন আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো’।

পূর্ববর্তী আসমানি গ্রন্থসমূহ ও সহীফাগুলোও রমজান মাসে নাজিল হয়। রমজান মাসের পহেলা (অথবা ৩রা তারিখে) ইব্রাহীম (আ:) সহীফা লাভ করেন, এই মাসের ৬ তারিখ মূসা (আ:)-এর ‘তাওরাত’। ১২ তারিখে দাউদ (আ:) ‘জাবুর’ লাভ। ১৮ তারিখে ঈসা (আ:)-এর ‘ইঞ্জিল’ লাভ করেন। ‘উপবাস ব্রত’ পৃথিবীর সকল ধর্মেই রয়েছে। সুদীর্ঘ এক মাসব্যাপী ভোর (সুবহে সাদিক) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস এবং সেই সঙ্গে কঠোর সংযম সাধনার বিধান ইসলাম ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কোনো ধর্মে নেই। রমজানের সিয়াম সাধনা মানুষের মনের কলুষ-কালিমা পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়ে মনকে নির্মল ও পবিত্র করে তোলে, পাপরাশিকে সম্পূর্ণরুপে দগ্ধ করে মানুষকে করে খাঁটি ও পুণ্যবান, তাকওয়া অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।

রমজানের রোজা তিনটি ভাগে বিভক্ত ‘রহমত’ ‘মাগফেরাত’ ও ‘নাজাত’। প্রথম দশদিন আল্লাহ্র রহমত ঝরে পড়তে থাকে, তাঁর রোজাদার বান্দাদের উপরে। দ্বিতীয় দশদিনে পাওয়া যায় ‘মাগফেরাত’ বা ক্ষমা, অন্যায় কাজ ও চিন্তার জন্য ক্ষমা, পাপরাশি ও চারিত্রিক অবক্ষয়ের জন্য ক্ষমা। শেষের দশদিনে মুক্তি পাওয়া যায়- দোজখের শাস্তি, পাপ, যৌন-ক্ষুধা, কামনা, অশ্লীলতা, লোভ-লালসা, সকল প্রকারের অযৌক্তিক বন্ধন থেকে, অশুভ কার্যকলাপ ও অন্যায় থেকে। রমজানের রোজার মাধ্যমে সংযম সাধনার ফলে মানুষের পক্ষে সম্ভব আল্লাহর নৈকট্য লাভ। 

কারণ, রমজানের ‘রোজা’ মানুষের মনের পাপাত্নাকে সংযত করে, অসহায়-দরিদ্র ক্ষুধার্তদের কষ্ট ও যন্ত্রণা, ব্যথা ও বেদনা হৃদয়র্টাচ করতে সাহায্য করে এবং মানুষকে শিক্ষা দেয় ধৈর্য্যরে । রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেন, “আমি সেই মহান সত্ত্বার কসম করে বলিতেছি, যাঁহার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয় জানিও আল্লাহর নিকট রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ মেশক বা কস্তুরীর চেয়ে অধিক উত্তম। 

অনত্রে ইরশাদ করেছেন, “রোজাদারের নিদ্রা ইবাদতের সমতুল্য। তাহার নীরবতা তসবীহ পড়ার সমতুল্য। সে সামান্য ইবাদতেই অন্য সময় অপেক্ষা অনেক বেশি সাওয়াবের অধিকারী হয়, তার দোয়া কবুল হয় এবং গোনাহ মাফ হয়। ঈমান ও ইতেকাফের সাথে যে ব্যক্তি রোজা রাখবে তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে”।

রমজান মাসে রোজা’র মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বাত্মক চেষ্টা করা সকল মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। রোজা, তারাবিহ ও সারামাস সংযম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ আর কোনো মাসেই পাওয়া যায় না। রমজান মাসে যেভাবে আল্লাহর রহমত আমাদের উপর বর্ষিত হয়, সে অসাধারণ সুযোগ আমরা কেউ কোনো দিনও হারাতে চাই না। ইরশাদ হচ্ছে- “মানুষ যত প্রকার নেকী বা নেক কাজ করে আমি তার সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেই। কিন্তু রোজা এই নিয়মের বহির্ভূত। রোজার সাওয়াব এভাবে সীমাবদ্ধ বা সীমিত নয়। রোজার পুরস্কার আমি স্বয়ং নিজ হাতে প্রদান করব।”

আবু হুরায়রা (রা:)-থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)। শাহ্ ইবনে সা’দ (রা:)-থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেছেন, বেহেশতের ৮টি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ১টি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)। রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেছেন, রোজা মানুষের জন্য ঢালস্বরুপ যতক্ষণ পর্যন্ত তা ফেড়ে না ফেলা হয় (অর্থাৎ রোজা মানুষের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা নিয়ম অনুযায়ী পালন করা হয়)। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)। 

আবু হোরায়রা (রা:)-থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে পূর্ণের আশায় রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারী)। রোজাদারের খুশির বিষয় ২টি- ইফতার আর আল্লাহ্র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোজার বিনিময় লাভ। (বুখারী)। এ মাসে এক আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকে, হে ভালোর অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে মন্দের অন্বেষণকারী! থামো। আল্লাহ এ মাসে বহু রোজাদার ব্যক্তিকে দোযখ থেকে মুক্তি দেন। আর এটা এ মাসের প্রতি রাতেই হয়ে থাকে। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)। রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেন, কেউ যদি (রোজা রেখেও) মিথ্যা কথা বলে ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ করে না, তবে তার শুধু পানাহার ত্যাগ করা (অর্থাৎ উপবাস ও তৃষ্ণার্ত থাকা) আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বুখারী)। 

এই মাসে যে ব্যক্তি রহমত লাভের উদ্দেশে ১টি নফল আমল করল সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এই মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো। আবু হুরায়রা (রা:)-থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়তের কোনো কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ভাঙে সে রমজানের বাইরে সারাজীবন রোজা রাখলেও এর বদলা হবে না। (তিরমিযী, আবু দাউদ)।

আবু হুরায়রা (রা:)-থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:)-ইরশাদ করেছেন, অনেক রোজাদার ব্যক্তি এমন রয়েছে যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতিত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত জাগরণকারী এমন রয়েছে যাদের রাত জাগার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। (প্রার্থনা যদি এখলাস না হয়ে লোক দেখানোর উদ্দেশে হয় তাহলে এর বিনিময়ে কোনো পূণ্য পাওয়া যাবে না)। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)। আত্নশুদ্ধির মহান মাসে ‘রহমত’ ‘মাগফেরাত’ ও ‘নাজাত’সহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।


লেখক: প্রাবন্ধিক ও ম্যানেজার

bdnewshour24

পরবর্তী খবর

ধর্ম
গাছের ফল অগ্রিম কেনা-বেচা করা যাবে কি?

May 16, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

গাছে ফুল আসছে না আসতেই অনেক মালিক বা পাইকার ব্যবসায়ীরা এক-দুই বছরের জন্য অগ্রিম বাগানের ফল কেনা-বেচা করেন। আবার কখনো ফল ছোট থাকাবস্থায় কেনা-বেচা করেন, পরে পাকার সময় হলে আম পেড়ে নিয়ে আসে।

এখন আমার জানার বিষয় হলো- আমাদের এই লেনদেন কি বৈধ হচ্ছে? বৈধ না হলে বৈধ কোনো পদ্ধতি আছে কি না— জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
 
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- গাছে ফল হওয়ার আগে বাগানের অগ্রিম কেনা-বেচা জায়েজ নয়। এ ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

জাবের (রা.) বলেন- ‘নবী কারিম (সা.) بيع السنين তধা অগ্রিম এক বা একাধিক বছরের জন্য (গাছের ফল) বিক্রি করা থেকে নিষেধ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৩৬)
সুতরাং গাছে আম হওয়ার আগেই অগ্রিম আমের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ হবে না। তবে বাগানের মালিকদের সাথে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা বা ওয়াদা করা যেতে পারে। এবং সম্ভাব্য দাম নিয়েও প্রাথমিক কথা হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে গাছে আম হওয়ার পর ফলন দেখে। ফল হওয়ার আগে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

এ কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পণ্য হচ্ছে আম। এখন যদি তা বেরই না হয় তাহলে কিসের বেচা-কেনা হচ্ছে। শরীয়তে এ ধরনের অস্তিত্বহীন বস্তুর বেচা-কেনার কোনো সুযোগ নেই।

তথ্যসূত্র : কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদিনাহ : ১/৬৫০; কিতাবুল আছল : ২/৪৩৮; বাদায়েউস সানায়ি : ৪/৩২৬; আল-মুহিতুল বুরহানি : ৯/৩১০; ফাতহুল কাদির : ৫/৪৮৮; আল-বাহরুর রায়েক : ৫/৩০০

ফল

পরবর্তী খবর

ধর্ম
লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

Apr 28, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

মুসলমানদের কাছে ‘লাইলাতুল কদর’ একটি মহিমান্বিত রাত। প্রতিবছর পবিত্র রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে ‘লাইলাতুল কদর’ পালন করা হয়। ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতটি কাটান।

এ রাতের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাযিল করেছি শবে-কদরে। শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই রাতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সুরা কদর)

লাইলাতুল কদরের নামাজ: লাইলাতুল কদরের রাতে নামাজ দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে পড়া যায়, ততই ভালো। নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা কদর বা সূরা তাকাছুর মিলিয়ে পড়তে পারেন। এভাবে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি আদায় করতে পারলে ভালো।

এছাড়া, এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। বেশি বেশি দোয়া পড়তে পারেন। তওবা করতে পারেন। সবই করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত: “নাওয়াইতুআন উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা- রাক‘আতাই ছালাতি লাইলাতুল কদরনাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা‘বাতিশ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।

অর্থাৎ ‘আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে কদরের দু‘রাকআত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, লাইলাতুল কদরের রাতে কোন দোয়াটি পড়া উচিত?’ রাসূল (সা.) বলেন,‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’

অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে ইবনে মাজা)।

লাইলাতুল কদর

পরবর্তী খবর

ধর্ম
মহানবীর (স.)-এর ব্যবহৃত জুব্বা দেখতে মানুষের ঢল

Apr 25, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

ওয়াইস কারনিকে দেওয়া মহানবী (স.)-এর ব্যবহৃত জুব্বা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হিরকা-ই শেরিফ মসজিদে। দুই বছর পর শুক্রবার (২২ এপ্রিল) এ পোশাক প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওফাতের আগেই সাহাবীদের জানিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিধানের জুব্বাটি পাবেন ইয়েমেননিবাসী হজরত ওয়াইস আল কারনি (রহ.)। হজরত ওমর (রা.) খলিফা হওয়ার পর হজরত আলী (রা.)-কে নিয়ে কুফা নগরীতে যান। দরবেশ ওয়াইস কারনিকে খুঁজে বের করে মহানবীর (স.) পবিত্র জামাটি তাঁর কাছে হস্তান্তর করেন।

ওয়াইস কারনির বংশধররা অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত ইরাকে বসবাস করতেন। পরম যত্নে তারা প্রিয়নবী (স.)-এর জুব্বা সংরক্ষণ করেন। এক সময় কারনি পরিবার ইরাক থেকে পশ্চিম তুরস্কে চলে যেতে বাধ্য হন। কুসাদাসির এজিয়ান শহরে বসতি স্থাপন করেন। ১৬১১ সাল পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

১৬১১ সালে উসমানীয় সুলতান এবং খলিফা আহমেদ জানতে পারেন নবীজির (স.) পোশাকটির কথা। প্রথমে তিনি জুব্বাটি নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পরে আলেমদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলান এবং ওয়াইস কারনির বংশধরদের ইস্তাম্বুলে বসবাসের আমন্ত্রণ জানান।

সে সময় প্রতিবছর রমজান মাসে জনসাধারণকে নবীজির (স.) জুব্বা দেখার সুযোগ দেওয়া হতো। দর্শকের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় সুলতান আব্দুল মেসিদের নির্দেশে হিরকা-ই শরীফ মসজিদের পরিসর বাড়ানো হয়। ১৮৫১ সাল থেকে মহানবী (স.)-এর জুব্বাটি সেখানে সংরক্ষিত রয়েছে।

ডেইলি সাবাহ জানায়, করোনার কারণে গত দুই বছর জুব্বা প্রদর্শন বন্ধ ছিলো। এবছর আবারও তা চালু করা হয়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই নিদর্শন শুধু পবিত্র রমজানে দেখানো হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কিছু মানুষকে মসজিদের অভ্যন্তরে কাচে মোড়ানো বাক্সে পোশাকটি দেখার সুযোগ দেয়া হয়। বাইরে আলাদা সারিতে হাজারো নারী ও পুরুষ মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

মানুষের এত ভিড় থাকার পরেও করোর মধ্যে কোনো অভিযোগ নেই। দর্শনার্থীরা ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র ব্যক্তিত্বের ব্যবহৃত পোশাকটি দেখার সুযোগ পেয়ে আত্মহারা। অনেকে পোশাকটি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ নামাজ পড়েন। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাকটির প্রদর্শনী চলবে। 

মহানবী

পরবর্তী খবর

ধর্ম
যে কারণে ইতিকাফ ভেঙ্গে যায়

Apr 23, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

 

ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্যে এসে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করে প্রতিবছরই ইতিকাফ করতেন।

শেষ দশকের সুন্নাত ইতিকাফকারীর জন্য মানবীয় ও শরয়ি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়, বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
 
সুতরাং ফরজ গোসল ছাড়া গরম ও গায়ের দুর্গন্ধের কারণে গোসল করার জন্য বের হওয়া জায়েজ নেই। হ্যাঁ, যদি অতীব প্রয়োজন হয় এবং মসজিদে গোসলের সুব্যবস্থা থাকে, তাহলে মসজিদেই গোসল করবে অথবা ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে ফেলবে। আর ইস্তেঞ্জা করতে গিয়ে অজু পরিমাণ স্বল্প সময়ের মধ্যে সাবান ইত্যাদি ছাড়া স্বাভাবিক গোসল করতেও কোনো অসুবিধা নেই। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪৪০, ২/৪৪৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫১৫)

জানাজা ও রোগীর সেবা ইত্যাদির জন্য মসজিদ থেকে বের হলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি : ২/২১৩)

ইতিকাফ অবস্থায় মেসওয়াক অথবা ব্রাশ করার জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে না। গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। হ্যাঁ, অজু করার জন্য বের হলে তখন মেসওয়াকও করে নেবে। শুধু মেসওয়াক বা ব্রাশ করার জন্য বাড়তি সময় যাতে নষ্ট না হয়। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৩৯) এ হিসাবে ফোনে কথা বলার জন্যও মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি নেই।

ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। তাই কেউ যদি অসুস্থতার দরুন অপারগ হয়ে রোজা ভাঙতে হয়, তবে ইতিকাফও ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৩১)
 
অসুস্থতার দরুন নিরুপায় হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে অপারগতার দরুন গুনাহগার হবে না। (ফাতাওয়া কাজী খান : ১/২২৩)

ইতিকাফে যেসব কাজ করা মাকরুহ

ইতিকাফে যেকোনো অপ্রয়োজনীয় কাজই মাকরুহ। যেমন- অনর্থক গল্প করা, বিনা প্রয়োজনে বেচাকেনা করা, মোবাইলে গেম খেলা, ফেসবুকে চ্যাট করা ইত্যাদি। একান্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বেচাকেনা করার অনুমতি আছে।

ব্যবসায়ী মালামাল মসজিদে নিয়ে আসা মাকরুহ। যদিও একান্ত প্রয়োজনে বেচাকেনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ইতিকাফ অবস্থায় চুপ করে বসে থাকাও কোনো ইবাদত নয়। তাই ইবাদত মনে করে চুপ করে বসে থাকাও মাকরুহ। (আহকামে ইতিকাফ ফাজায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা : ৬৫)

ইতিকাফ

ঢাকা সংবাদ

banglanewspaper
টাঙ্গাইলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্বির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ 
banglanewspaper
পাত্রী দেখে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে প্রাণ গেল প্রবাসীর
banglanewspaper
বিয়ের পরেও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে জুলিয়া!
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে ট্রাকে করে ফেনসিডিল বিক্রির সময় গ্রেফতার ২
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে সাড়ে ৭ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে মারামারি
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে ফেনসিডিলসহ র‍্যাবের হাতে ২ ভুয়া সংবাদিক আটক

অন্যরকম সংবাদ

banglanewspaper
আজ কারাগারে অ্যাসাঞ্জের বিয়ে
banglanewspaper
পানির নিচ থেকে উঠে এল ‘ভুতুড়ে গ্রাম’!
banglanewspaper
অনলাইনে ক্লাস করতে গাছের উপরে বাড়ি তৈরি
banglanewspaper
আজব ঘটনা! হাঁসের হাতে মুরগি ‘খুন’, থানায় অভিযোগ
banglanewspaper
মারা গেলেন তসলিমা নাসরিন!
banglanewspaper
৮৭ বছরের জীবনে ৬৭ বছর গোসলই করেননি তিনি!
bdnewshour24.com
West Panthopath, Dhanmondi
Dhaka 1209, Bangladesh.
For News: bdnewshour24@gmail.com
For Adds: bdnewshour24@gmail.com
For Contact: 01745-052651
DMCA.com Protection Status bdnewshour24.com প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি
© 2016-2017. All Rights Reserved. Powered by banglanewspaper CIS