logo
মেনু
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাবাংলা
    • ঢাকা
    • চট্রগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • রংপুর
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • ময়মনসিংহ
  • রাজধানী
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • অর্থ-বাণিজ্য
  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  • লাইফস্টাইল
  • আইন-আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • অন্যান্য...
    • অন্যরকম
    • চাকুরী সংবাদ
    • মুজিব বর্ষ
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • সাক্ষাৎকার
    • প্রবাসের খবর
    • নারীমেলা
    • ওপার বাংলা
    • জীব বৈচিত্র্য
    • ভ্রমণ
    • শিল্প-সাহিত্য
    • মতামত
    • বিশেষ সংবাদ
    • চাকুরী সংবাদ

ধর্ম
রজব রমজানের প্রস্তুতি মাস

Mar 08, 2021
Share
Tweet
banglanewspaper

রজব আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের মাস। এ মাস বান্দার গুনাহ মাফের মাস। রজব মাসের সাথে ইসলামের অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। রাসুল (সা.) রজব মাসে মেরাজে গমন করেছিলেন। নূহ (আ.) মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় রজব মাসেই কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন। রাসুল (সা.) এর কাছে রজব মাসেই প্রথম ওহী আসে। 

এছাড়া রজব হলো জান্নাতের তলদেশে প্রবাহিত একটি নদীর নাম। এ নদীর পানি দুধের মতো ধবধবে সাদা এবং মধুর চেয়েও অধিক মিষ্টি। যে সকল মুমিন বান্দা রজব মাসে নফল রোজা রাখবে, আল্লাহ আখেরাতে ওই সমস্ত রোজাদারকে রজব নদীর পানি দ্বারা আপ্যায়ন করবেন। সুমিষ্ট রজব নদীর পানি বরফের চেয়ে শীতল। যারা একবার রজব নদীর পানি পান করবে, তাদের আর কোনও দিনও পানির পিপাসা লাগবে না।

ইসলাম আগমনের পর বছরের বারো মাসের মধ্য থেকে রজবসহ ৪টি মাসকে ‘আশহুরে হুরুম’ তথা সম্মানিত মাস ঘোষণা করা হয়। এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে গণনায় মাস ১২টি, তন্মধ্যে ৪টি (সম্মানিত হওয়ার কারণে) নিষিদ্ধ মাস, এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান’ (সুরা: তওবা, আয়াত-৩৬)। 
রজব মাস মুসলমানদের কাছে আসে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে। প্রতিটি বড় বড় কাজ ও মহান দায়িত্ব পালনের জন্য নানা আয়োজন, প্রশিক্ষণ ও পূর্বপ্রস্তুতির দরকার হয়। রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ইসলামের অন্যতম ইবাদত। এর মাধ্যমে পাপপঙ্কিলতাপূর্ণ অন্তরকে পরিশোধিত করা হয়। স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সেতুবন্ধন স্থাপিত হয়। 

আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো’ (সুরা: বাকারা, আয়াত-১৩৮)। 

বান্দার দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিশেষ রাতের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচটি রাতের প্রথমটি হলো জুমার রাত, দ্বিতীয়টি ঈদুল ফিতরের রাত, তৃতীয়টি ঈদুল আজহার রাত, চতুর্থটি রজব মাসের চাঁদ উদয়ের প্রথম রাত, পঞ্চমটি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত (সুনানে বায়হাকি)। ইমাম আবু বকর জাসসাস (রহ.) বলেন, ‘এসব মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে, বাকি মাসগুলোয় ইবাদত করা সহজ হয়। আর এ মাসগুলোয় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে অন্য মাসেও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়’ (আহকামুল কোরআন)।

অন্যান্য মাসের মতো রজব মাসের জন্য বিশেষ কিছু নফল আমল রয়েছে, যে আমলের মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের পথ সুগম হয়। রজব মাস অন্য মাসের তুলনায় অধিক সম্মানী হবার কারণে রাসুল (সা.) দুই মাস আগ থেকেই মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু করতেন। আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রজব মাসের আগমন হতো, তখন রাসুল (সা.) এই দোয়াটি পড়তেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন’ (মুসনাদে আহমদ, নাসায়ি )। 

রাসুল (সা:) ইরশাদ করেন, ‘রজব মাস হচ্ছে মহান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস, ফজিলতের দিক থেকে রমজানের পর অন্য কোনো মাস এর সমপর্যায়ের নয়। এ মাসে কাফেরদের সঙ্গেও যুদ্ধ করা হারাম। রজব মাস আল্লাহর মাস, শাবান মাস আমার মাস এবং রমজান মাস হচ্ছে আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, মহান আল্লাহ তার ওপর সন্তুষ্ট হন, তার প্রতি মহান আল্লাহর ক্রোধ দূর হয়ে যায় এবং জাহান্নামের একটি দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।’ 

অন্যত্রে বর্ণিত আছে, ‘রজব মাস হচ্ছে আমার উম্মতের ক্ষমা প্রার্থনার মাস। অতএব এ মাসে অত্যধিক ক্ষমা প্রার্থনা কর, কেননা মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু’। গোনাহে পরিপূর্ণ মানবাত্মাকে তাওবার মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আবু বকর বলখি (রহ.) বলেন, ‘রজব চারা রোপণের মাস। শাবান চারাতে পানি সেচ দেয়ার মাস আর রমজান হলো ফসল তোলার মাস। 

তিনি আরও বলেন, ‘রজব মাস ঠান্ডা বাতাসের মতো, শাবান মাস মেঘমালার মতো আর রমজান মাস হলো বৃষ্টির মতো’ (লাতায়েফুল মা’আরেফ )। রাসুল (সা:) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রজব মাসের রাতগুলোর একটিতে (দুই রাকাত করে) নির্দিষ্ট একটি নিয়মে দশ রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।

রজব মাস আগমন হলে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইন, আইম্মায়ে মুজতাহেদিন, ওলী আল্লাহসহ মুমিন বান্দারা বিশেষ কিছু নফল আমল করতেন। এ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ইবাদতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ রাতকে লাইলাতুল রাগায়িব বলা হয়। এ মাসের ১৫ তারিখের রাতকে লাইলাতুল ইস্তিফতাহ বলা হয়। এ মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে মেরাজ বলা হয়। রাসুল (সা:)-এর মাধ্যমে যে কয়েকটি মোজেজা সংঘটিত হয়েছিল, এর মধ্যে মেরাজ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা। মেরাজের রাতের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। 

রাসুল (সা.) এর নবুওয়াত লাভ-পরবর্তী ঘটনাগুলোর মধ্যে মেরাজ সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। রমজানের আগমনী বার্তা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাস হিসেবে রজব মাস মুসলমানদের জন্য অনেক তৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই একান্তভাবে পিয়ারা রাসুল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করে এই বরকতময় মাসটিকে যথার্থভাবে আমলে কাটানোর চেষ্টা করা। রাসুল (সা.) এর দেখানো পথে রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণস্বরূপ রোজা রাখার আমল করা। রজবের প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে রমজানের প্রস্তুতি। 

যে সকল মুসলমানগণ রজব মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন তারাই রমজান কাটাতে পারবেন পুরোপুরি হক আদায় করে। এছাড়া রজব মাসের মহামান্বিত রাত লাইলাতুল মেরাজে ইবাদত-বন্দেগী করে কাটানোও মুমিনের দায়িত্ব। অতএব রজব মাস থেকেই শুরু করতে হবে রমজানের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ। মহা সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে রজব মাসের মর্যাদা যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: প্রাবন্ধিক 

bdnewshour24

পরবর্তী খবর

ধর্ম
গাছের ফল অগ্রিম কেনা-বেচা করা যাবে কি?

May 16, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

গাছে ফুল আসছে না আসতেই অনেক মালিক বা পাইকার ব্যবসায়ীরা এক-দুই বছরের জন্য অগ্রিম বাগানের ফল কেনা-বেচা করেন। আবার কখনো ফল ছোট থাকাবস্থায় কেনা-বেচা করেন, পরে পাকার সময় হলে আম পেড়ে নিয়ে আসে।

এখন আমার জানার বিষয় হলো- আমাদের এই লেনদেন কি বৈধ হচ্ছে? বৈধ না হলে বৈধ কোনো পদ্ধতি আছে কি না— জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
 
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- গাছে ফল হওয়ার আগে বাগানের অগ্রিম কেনা-বেচা জায়েজ নয়। এ ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

জাবের (রা.) বলেন- ‘নবী কারিম (সা.) بيع السنين তধা অগ্রিম এক বা একাধিক বছরের জন্য (গাছের ফল) বিক্রি করা থেকে নিষেধ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৩৬)
সুতরাং গাছে আম হওয়ার আগেই অগ্রিম আমের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ হবে না। তবে বাগানের মালিকদের সাথে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা বা ওয়াদা করা যেতে পারে। এবং সম্ভাব্য দাম নিয়েও প্রাথমিক কথা হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে গাছে আম হওয়ার পর ফলন দেখে। ফল হওয়ার আগে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

এ কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পণ্য হচ্ছে আম। এখন যদি তা বেরই না হয় তাহলে কিসের বেচা-কেনা হচ্ছে। শরীয়তে এ ধরনের অস্তিত্বহীন বস্তুর বেচা-কেনার কোনো সুযোগ নেই।

তথ্যসূত্র : কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদিনাহ : ১/৬৫০; কিতাবুল আছল : ২/৪৩৮; বাদায়েউস সানায়ি : ৪/৩২৬; আল-মুহিতুল বুরহানি : ৯/৩১০; ফাতহুল কাদির : ৫/৪৮৮; আল-বাহরুর রায়েক : ৫/৩০০

ফল

পরবর্তী খবর

ধর্ম
লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

Apr 28, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

মুসলমানদের কাছে ‘লাইলাতুল কদর’ একটি মহিমান্বিত রাত। প্রতিবছর পবিত্র রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে ‘লাইলাতুল কদর’ পালন করা হয়। ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতটি কাটান।

এ রাতের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাযিল করেছি শবে-কদরে। শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই রাতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সুরা কদর)

লাইলাতুল কদরের নামাজ: লাইলাতুল কদরের রাতে নামাজ দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে পড়া যায়, ততই ভালো। নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা কদর বা সূরা তাকাছুর মিলিয়ে পড়তে পারেন। এভাবে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি আদায় করতে পারলে ভালো।

এছাড়া, এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। বেশি বেশি দোয়া পড়তে পারেন। তওবা করতে পারেন। সবই করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত: “নাওয়াইতুআন উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা- রাক‘আতাই ছালাতি লাইলাতুল কদরনাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা‘বাতিশ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।

অর্থাৎ ‘আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে কদরের দু‘রাকআত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, লাইলাতুল কদরের রাতে কোন দোয়াটি পড়া উচিত?’ রাসূল (সা.) বলেন,‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’

অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে ইবনে মাজা)।

লাইলাতুল কদর

পরবর্তী খবর

ধর্ম
মহানবীর (স.)-এর ব্যবহৃত জুব্বা দেখতে মানুষের ঢল

Apr 25, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

ওয়াইস কারনিকে দেওয়া মহানবী (স.)-এর ব্যবহৃত জুব্বা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হিরকা-ই শেরিফ মসজিদে। দুই বছর পর শুক্রবার (২২ এপ্রিল) এ পোশাক প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওফাতের আগেই সাহাবীদের জানিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিধানের জুব্বাটি পাবেন ইয়েমেননিবাসী হজরত ওয়াইস আল কারনি (রহ.)। হজরত ওমর (রা.) খলিফা হওয়ার পর হজরত আলী (রা.)-কে নিয়ে কুফা নগরীতে যান। দরবেশ ওয়াইস কারনিকে খুঁজে বের করে মহানবীর (স.) পবিত্র জামাটি তাঁর কাছে হস্তান্তর করেন।

ওয়াইস কারনির বংশধররা অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত ইরাকে বসবাস করতেন। পরম যত্নে তারা প্রিয়নবী (স.)-এর জুব্বা সংরক্ষণ করেন। এক সময় কারনি পরিবার ইরাক থেকে পশ্চিম তুরস্কে চলে যেতে বাধ্য হন। কুসাদাসির এজিয়ান শহরে বসতি স্থাপন করেন। ১৬১১ সাল পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

১৬১১ সালে উসমানীয় সুলতান এবং খলিফা আহমেদ জানতে পারেন নবীজির (স.) পোশাকটির কথা। প্রথমে তিনি জুব্বাটি নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পরে আলেমদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলান এবং ওয়াইস কারনির বংশধরদের ইস্তাম্বুলে বসবাসের আমন্ত্রণ জানান।

সে সময় প্রতিবছর রমজান মাসে জনসাধারণকে নবীজির (স.) জুব্বা দেখার সুযোগ দেওয়া হতো। দর্শকের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় সুলতান আব্দুল মেসিদের নির্দেশে হিরকা-ই শরীফ মসজিদের পরিসর বাড়ানো হয়। ১৮৫১ সাল থেকে মহানবী (স.)-এর জুব্বাটি সেখানে সংরক্ষিত রয়েছে।

ডেইলি সাবাহ জানায়, করোনার কারণে গত দুই বছর জুব্বা প্রদর্শন বন্ধ ছিলো। এবছর আবারও তা চালু করা হয়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই নিদর্শন শুধু পবিত্র রমজানে দেখানো হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কিছু মানুষকে মসজিদের অভ্যন্তরে কাচে মোড়ানো বাক্সে পোশাকটি দেখার সুযোগ দেয়া হয়। বাইরে আলাদা সারিতে হাজারো নারী ও পুরুষ মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

মানুষের এত ভিড় থাকার পরেও করোর মধ্যে কোনো অভিযোগ নেই। দর্শনার্থীরা ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র ব্যক্তিত্বের ব্যবহৃত পোশাকটি দেখার সুযোগ পেয়ে আত্মহারা। অনেকে পোশাকটি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ নামাজ পড়েন। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাকটির প্রদর্শনী চলবে। 

মহানবী

পরবর্তী খবর

ধর্ম
যে কারণে ইতিকাফ ভেঙ্গে যায়

Apr 23, 2022
Share
Tweet
banglanewspaper

 

ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্যে এসে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করে প্রতিবছরই ইতিকাফ করতেন।

শেষ দশকের সুন্নাত ইতিকাফকারীর জন্য মানবীয় ও শরয়ি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়, বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
 
সুতরাং ফরজ গোসল ছাড়া গরম ও গায়ের দুর্গন্ধের কারণে গোসল করার জন্য বের হওয়া জায়েজ নেই। হ্যাঁ, যদি অতীব প্রয়োজন হয় এবং মসজিদে গোসলের সুব্যবস্থা থাকে, তাহলে মসজিদেই গোসল করবে অথবা ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে ফেলবে। আর ইস্তেঞ্জা করতে গিয়ে অজু পরিমাণ স্বল্প সময়ের মধ্যে সাবান ইত্যাদি ছাড়া স্বাভাবিক গোসল করতেও কোনো অসুবিধা নেই। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪৪০, ২/৪৪৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫১৫)

জানাজা ও রোগীর সেবা ইত্যাদির জন্য মসজিদ থেকে বের হলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি : ২/২১৩)

ইতিকাফ অবস্থায় মেসওয়াক অথবা ব্রাশ করার জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে না। গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। হ্যাঁ, অজু করার জন্য বের হলে তখন মেসওয়াকও করে নেবে। শুধু মেসওয়াক বা ব্রাশ করার জন্য বাড়তি সময় যাতে নষ্ট না হয়। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৩৯) এ হিসাবে ফোনে কথা বলার জন্যও মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি নেই।

ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। তাই কেউ যদি অসুস্থতার দরুন অপারগ হয়ে রোজা ভাঙতে হয়, তবে ইতিকাফও ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৩১)
 
অসুস্থতার দরুন নিরুপায় হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে অপারগতার দরুন গুনাহগার হবে না। (ফাতাওয়া কাজী খান : ১/২২৩)

ইতিকাফে যেসব কাজ করা মাকরুহ

ইতিকাফে যেকোনো অপ্রয়োজনীয় কাজই মাকরুহ। যেমন- অনর্থক গল্প করা, বিনা প্রয়োজনে বেচাকেনা করা, মোবাইলে গেম খেলা, ফেসবুকে চ্যাট করা ইত্যাদি। একান্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বেচাকেনা করার অনুমতি আছে।

ব্যবসায়ী মালামাল মসজিদে নিয়ে আসা মাকরুহ। যদিও একান্ত প্রয়োজনে বেচাকেনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ইতিকাফ অবস্থায় চুপ করে বসে থাকাও কোনো ইবাদত নয়। তাই ইবাদত মনে করে চুপ করে বসে থাকাও মাকরুহ। (আহকামে ইতিকাফ ফাজায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা : ৬৫)

ইতিকাফ

ঢাকা সংবাদ

banglanewspaper
টাঙ্গাইলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্বির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ 
banglanewspaper
পাত্রী দেখে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে প্রাণ গেল প্রবাসীর
banglanewspaper
বিয়ের পরেও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে জুলিয়া!
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে ট্রাকে করে ফেনসিডিল বিক্রির সময় গ্রেফতার ২
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে সাড়ে ৭ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে মারামারি
banglanewspaper
টাঙ্গাইলে ফেনসিডিলসহ র‍্যাবের হাতে ২ ভুয়া সংবাদিক আটক

অন্যরকম সংবাদ

banglanewspaper
আজ কারাগারে অ্যাসাঞ্জের বিয়ে
banglanewspaper
পানির নিচ থেকে উঠে এল ‘ভুতুড়ে গ্রাম’!
banglanewspaper
অনলাইনে ক্লাস করতে গাছের উপরে বাড়ি তৈরি
banglanewspaper
আজব ঘটনা! হাঁসের হাতে মুরগি ‘খুন’, থানায় অভিযোগ
banglanewspaper
মারা গেলেন তসলিমা নাসরিন!
banglanewspaper
৮৭ বছরের জীবনে ৬৭ বছর গোসলই করেননি তিনি!
bdnewshour24.com
West Panthopath, Dhanmondi
Dhaka 1209, Bangladesh.
For News: bdnewshour24@gmail.com
For Adds: bdnewshour24@gmail.com
For Contact: 01745-052651
DMCA.com Protection Status bdnewshour24.com প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি
© 2016-2017. All Rights Reserved. Powered by banglanewspaper CIS