
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মশার ওষুধ ছিটানোর সকালের কার্যক্রম আমাদের চার ঘন্টা চলছে, বিকেলেরটা আমরা আরও বৃদ্ধি করেছি। মশার ওষুধ পরিবর্তনের উদ্যোগের ফলে আমরা আশাবাদী আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
তিনি বলেন, ওয়াসা থেকে আমাদের কাছে যে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, এগুলো যদি আরও দুই মাস আগে আমরা পেতাম। তাহলে আমরা আরও আগে থেকেই বর্জ্যগুলো অপসারণ করতে পারতাম, ফলে কিউলেক্স মশা এ সময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ছিলো।
বুধবার (৩ মার্চ) পান্থকুঞ্জ সংলগ্ন নব নির্মিত অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ডিসেম্বর থেকে শীত মৌসুম আসার সাথে সাথে ডেঙ্গুর প্রভাব কমে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। আমাদের মতামত বা পরামর্শে কিছুটা ঘাটতি ছিল। ডিসেম্বর থেকে ডেঙ্গু বিষয়ে কাজ করার জন্য কিউলেক্স নিয়ে কাজ করতে সেভাবে আমরা পারিনি।
তিনি আরও বলেন, এতদিন ঢাকার খালগুলো বদ্ধ থাকার কারণে কিউলেক্স মশা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রায় ২০ কিলোমিটার খালের বর্জ্য, পলি মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন অপসারণ করা হয়েছে। ডেঙ্গুর ওপর যে ওষুধটা কাজ হয়েছে, সেই ওষুধ কিউলেক্স মশার জন্য সেভাবে কাজ হয় না, তাই এরই মাঝে আমরা আরেকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আমরা সেই ওষুধটা পরিবর্তন করেছি।
তাপস বলেন, খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণের এবং মশার কীটনাশক পরিবর্তনের কারণে আমরা আশাবাদী আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে মশার এমন প্রভাব থাকবে না। কিউলেক্স মশাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো। এছাড়া এসব কিছু কার্যক্রম চলার কারণে আগামী বছর থেকে কিউলেক্স মশা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।