
ছোট পর্দার অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব তার নাটকের অভিনেত্রী বানাবেন-এমন প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে এক তরুণীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে থানায় অভিযোগে গতকাল শামসুন্নাহার কনা নামের এই তরুণী রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি জিডি করেন। এদিকে তরুণীর অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে ধানমণ্ডি মডেল থানায় পাল্টা সাধারণ ডায়েরি করেছেন তৌসিফ।
তৌসিফ (১৭ জানুয়ারি) রবিবার মধ্যরাতে থানায় হাজির হয়ে জিডিটি করেন। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, শামসুন্নাহার কনা (৩৬) নামের গৃহিনী যে অভিয়োগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিনেতার মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই জিডি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তৌসিফ বলেন, আমি মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমার মানহানি হয়েছে। এ দায়ভার কে নিবে? আমার আইডি ভেরিফায়েড করা। কেউ যদি ভুল জায়গায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয় সেটার দায়ভার আমার না। আমি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। ওেই তরুণীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।
এরআগে গতকালকের জিডিতে তরুণী শামসুন্নাহার কনা উল্লেখ করেন, অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে ফেসবুকে ১৮ মাস পূর্বে পরিচয় হয় শামসুন্নাহার কনার। পরিচিত হওয়ার পর তিনি গত ছয় মাস পূর্বে ০১৬**৯৭৮৯০৯ এই নাম্বারে বিশ হাজার টাকা নেন তরুণীর কাছ থেকে। এরপর তৌসিফ তৃতীয় পক্ষ শাহরিয়া হোসেনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক, সাহাপুর শাখা, চাটখিল, নোয়াখালী অ্যাকাউন্ট নং ৩৪১০০৪৪১ হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আরো তিন লাখ বিশ হাজার টাকা নেন। টাকা নেয়ার পর তৌসিফ তরুণীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। তার ব্যবহৃত সবগুলো নাম্বার বন্ধ করে দেন।
এই বিষয়ে শামসুন্নাহার কনা বলেন, অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে আমার পরিচয় হয়। এরপর তিনি আমাকে মডেল বানাবেন বলে বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নেন।
এই তরুণীর দাবি, অভিনেতা তৌসিফের রিয়েল আইডি দিয়েই তাদের পরিচয়। তারা দুজনে ভিডিও কলে কথা বলেছেন। প্রথম দিকে রিয়েল আইডি দিয়ে কথা হলেও পরে তৌসিফ ফেইক আইডি দিয়ে আমার সাথে কথা বলতো। সে সবসময় বলতো ওই আইডি দিয়ে কথা বললে তার সমস্যা হবে। আর আমাকে অভিনয় করাবে বলে বিভিন্ন সময়ে অনেক টাকা নিয়েছে। আমি অনেকবার দেখা করতে বললেও তিনি আমার সাথে দেখা করতেন না। পরে আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। আমাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেন।
এই বিষয়ে কথা বলতে হাতিরঝিল থানায় যোগাযোগ করা হলে থানাটির ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে জিডির কপি এখনও আমার কাছে আসেনি। আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।