
বঙ্গবন্ধু টি- টোয়েন্টি কাপের চতুর্থ ম্যাচে বিশাল জয় পেলে মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম।
এ দিস প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই বাঁ হাতি প্রেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম আর দুই স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলামের বলে বিভ্রান্ত হয়ে ১৬.২ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয় ঢাকা।
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম। শেষ দিকে জয়ের জন্য ৬৪ বলে চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল। মাত্র ১০ রান। খেলার এমন সময় নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৩৪ রান করেন লিটন।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মুমিনুল হক সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে এরপর সাত বল খেলে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অন্য ওপেনার সৌম্য। তিনি ২৯ বলে চারটি ও দুই ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তিন বলে দুই চারে ৮ রান করেন মুমিনুল।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রামের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় ঢাকা।
দলীয় ৭ রানে শরিফুলের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাট তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসার তামিম। ১৪ রানে ব্যবধানে এই তিন নম্বরে পজিশনে ব্যাটিং নামা সাব্বির রহমান রুম্মানের উইকেট। আগের ম্যাচে ৭ বলে অপরাজিত ৫ রান করা এই অলরাউন্ডার এদিন। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে নেমেই গোল্ডান ডাক মারেন অধিনায়ক মুশফিক। নাহিদুলের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
২১ রানে তানিজদ, সাব্বির, মুশফিকের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানে জুটি গড়েন অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১৩ বলে ১৫ রান করে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে বোল্ড আকবর। একইভাবে আউট হন ইনিংসের শুরু থেকে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া নাঈম শেখ। তিনিও মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হন। তার আগে ২৩ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান।