
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুসহ যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। হাঁপানিতে মৃত্যুর হার খুব বেশি নয়। তবে সঠিক চিকিৎসা না হলে হাঁপানিতে রোগীদের কষ্ট বাড়ে। সম্প্রতি সময়ে করোনা আতঙ্কে গোটা বিশ্বের শ্বাসকষ্টের রোগীরা আছে চিন্তিত।
চিকিৎসা শাস্ত্র মতে শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন কারণ হতে পারে। সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসে যেমন শ্বাসকষ্ট হয় তেমনই হৃদরোগের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। পেটের সমস্যা, গ্যাস, হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, রক্তাল্পতা, কিডনির সমস্যা এমনকি অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তার কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
করোনা ভাইরাসের কারণে শ্বাসকষ্ট আছে এমন মানুষদের বিপদ কম নয়। কারণ ঘাতক এই ভাইরাস আঘাত করছে ফুসফুসে।
ফুসফুস বা শ্বাসনালিতে যেকোনো সংক্রমণ হওয়ার আগেই তা প্রথমে বাসা বাধে শ্বাসনালির উপরেরে অংশে। এতে গলা ব্যথা, কাশি হতে পারে। প্রচুর মিউকাস বেরোতে পারে, বসে যেতে পারে গলার স্বর। ফুসফুস অবধি পৌঁছে গেলেই তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
সংক্রমণ ফুসফুসে পৌঁছে গেলে তখনই রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সমস্যা দেখা দেয় শরীরে রক্ত সঞ্চালনে। তাই ভেন্টলেশনে রেখে রোগীর শরীরে তখন অক্সিজেন দিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা।
কারোর যদি অ্যাজমা, সিওপিডি আগেই থেকে থাকে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই শরীরে সমস্যা দেখা দ্রুত চিকিৎসা করাবেন। যাদের বাড়িতে বয়স্ক রোগীরা থাকেন তাদের রক্ষার্থে অবশ্য পুরো ঘরবন্দি থাকতে পরামর্শ চিকিৎসকের।
সবুজ শাক-সবজি রয়েছে এমন ডায়েট মেনে চলুন। ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই রয়েছে এমন খাবার রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পানির পরিমাণ ঠিক রাখুন। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেই হবে। প্রয়োজনে গ্লুকোজ খান। একাধিক বার অল্প করে খান।
শ্বাসকষ্ট হতে পারে এমন কোনো কাজ ও খাবার এড়িয়ে চলুন। কোনোভাবেই ঝুঁকি নেবেন না।
প্রাথমিক হাইজিন মেনে চলুন সবসময়। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।