
বরিশালের রূপাতলীতে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বালক শাখায় দুই শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, কেন্দ্রের বালক শাখার দুই শিশুর পায়ে শিকল পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, জিসান ও হযরত নামের দুই শিশু কেন্দ্রে আসার কয়েকদিন পরেই তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে গাছের সঙ্গে তালা মেরে রাখা হয়। যার একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে। শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেছে, হযরত নামের শিশুটি বর্তমানে কেন্দ্রে থাকলেও নির্যাতনের একপর্যায়ে জিসান পালিয়ে গেছে। হযরত বলে, জিসান কেন্দ্রের এক বড়ো ভাই মেহেদীর মারধরের ভয়ে পালিয়ে গেছে। আর বড়ো ভাই-ই স্যারের নির্দেশে তাদের দুই জনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। আর স্যারের নির্দেশের কথা মেহেদীই তাদের বলেছিল।
জানা যায়, মেহেদী এক কর্মকর্তার কাছ থেকে আলাদাভাবে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে প্রায়ই কেন্দ্রের শিশুদের মারধর করত। তবে মেহেদী বলেন, সে কাউকে মারধর করেন না, তবে তার দরজায় রাতে লাথি মারায় সে জিসান ও হযরতকে কেন্দ্রের খেলার মাঠের পাশেই শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। আর সেই শিকল তিনি কেন্দ্রের ভেতরেই পেয়েছেন।
শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রকল্প উপ-পরিচালক বাসুদেব দেবনাথ বলেন, কেন্দ্রে আমিসহ ১৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছি। এরমধ্যে কেউ যদি শিশুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান, শিশুদের শিকলে বেঁধে রাখাসহ বিভিন্ন মৌখিক অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই অভিযুক্তকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।