
‘তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কী, বসন্তকালে তোমায় বলতে পারিনি...সাদা সাদা, কালা কালা’ গ্রাম থেকে শহরে সবার মুখে মুখে গানটি। তবে গান শুনে প্রাণ জুড়ালেও সিনেমাটি দেখার অপেক্ষায় দর্শকের মন অস্থির হয়ে আছে।বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি অবশেষে সারাদেশে মুক্তি পেল শুক্রবার (২৯ জুলাই)।
মুক্তি উপলক্ষে প্রচারণার ধারাবাহিকতায় ‘হাওয়া’র কলাকুশলীরা হাজির হয়েছিলেন বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স শাখায় প্রথম শো দেখতে।
এদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সিনেমা নিয়ে কথা বলেন এই সময়ের তরুণ জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাশার।
তিনি বলেন, “মুভিটা অদ্ভুত সুন্দর। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখলাম। আসলে সত্যি বলতে এতো চমৎকার ফ্লিম দীর্ঘসময় পরে দেখতে পেলাম। আরেকটা ব্যাপার যদি বলি, যতটা আশা ছিল, তার চাইতে এই ফ্লিমটা অনেক অনেক হাই। দর্শকের এই ফ্লিম কোনোভাবেই মিস করা উচিৎ না। আশা করি দর্শক এটা মিস করবেও না। যারা হাওয়া দেখতে আসবে ভালো একটা স্মৃতি ধরে রাখতে পারবে। এখানে সবার অভিনয় খুব চমৎকার ছিল। এতোটাই চমৎকার ছিল যে আসলে তারা অভিনয় করেন নাই। আমার কাছে মনে হয়েছে শুটিংয়ে একটা জীবন-যাপন করে আসছেন। এটা খুবই ভালো যে টিকিট আজকে পাচ্ছে না, কালকে পাবে। কালকে যারা পাচ্ছে না তারা পড়শু পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যে টিকিট পাচ্ছে না তারপরও যে আগ্রহ নিয়ে সিনেমা দেখতে আসছে দর্শক এটা আসলে খুবই চমৎকার ব্যাপার। এরকম ঘুরে এসেও যদি সিনেমাটা দেখা যায় তারপরও তাদের সিনেমাটা ভালো লাগবে যে না এতোটা কষ্ট করে এসেও আমি একটা ভালো ফ্লিম দেখলাম। সিনেমার জন্য এই দিকটা সামনে আরও ভালোভাবে আসছে। আমাদের সিনেমার সুদিন ফিরে আসছে এটা হাওয়া প্রমাণ করল।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুস্থধারার বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের মাঝে সিনেমা হলে যাওয়ার আগ্রহের যে জোয়ার তৈরি হয়েছে, সেটি ‘হাওয়া’ আরও এগিয়ে নেবে বলে মনে করছেন দেশের সিনেমাবোদ্ধা ও অভিজ্ঞরা। সাধারণ দর্শক ও তরুণ প্রজন্মের মাঝে ‘হাওয়া’কে ঘিরে এই আগ্রহ আরও বেগবান করতেই হাওয়ার প্রচারণার জন্য দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলগুলোর শোতে যাবেন।